Newspaper

Online Income

অনলাইনে আয়-রোজগার করবার ১০টি উপায়

Cricket Live Score
Yahoo TV

Tech News

অনলাইনে আয় রোজগার
বাংলাদেশের আউটসোর্সিং ভিত্তিক কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বেকার তরুণদের জন্য এক বিশাল কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। ইন্টারনেটের বদৌলতে ঘরে বসে যেকোনো বিখ্যাত কোম্পানির কাজ পেয়ে যেতে পারেন। অনলাইনে কাজ করার সুবিধা হল একদিকে দক্ষ বেকার তরুণরা কর্মক্ষেত্র পায় অন্যদিকে কোম্পানিগুলো স্বল্প খরচে কাজ আদায় করে নেয়। আগে অবশ্য যেকোনো প্রতিষ্ঠান এই সব আউটসোর্সিং-এর কাজ করত এখন অনলাইনের কল্যাণে যেকোনো ব্যক্তি এ সব করতে পারে।

কলসেন্টার, আউটসোর্সিং, ডাটা এন্ট্রি, অডিটিং, অনলাইন সার্ভে, অনলাইন মার্কেটিং, গুগল এ্যাডসেন্স ইত্যাদি কাজগুলো অনলাইনে করা যায়।

কলসেন্টার: বিশ্বের যেকোনো দেশের মধ্যে টেলিফোন যোগাযোগ রক্ষা ও পরিচালনায় ব্যবসায়িক মাধ্যমকে কলসেন্টার বলা হয়। যদি একটি মোবাইল কোম্পানি বিভিন্ন দেশে তার নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দিয়ে তাদের মাঝে আন-সংযোগ গড়তে চায় তবে তাদেরকে ওই সমস্ত দেশে উচ্চ বেতনে দক্ষ লোক নিয়োগ দিতে হয়। কোম্পানিগুলো খরচ বাঁচানোর জন্য অনুন্নত দেশে কল সেন্টার খুলে সব কাজ তাদের মাধ্যমে সম্পাদন করে। তাই তাদেরকে উন্নত দেশে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য উচ্চ মূল্যে শ্রমিক নিয়োগ করতে হবে না। যেমন যেকোনো লোক ব্রিটেনের যেকোনো স্থানে যোগাযোগ রক্ষা করতে চাইলে তার সেবা বাংলাদেশে অবস্থিত কলসেন্টারে কর্মরত ব্যক্তিরা দেবে। নিশ্চয়ই ব্রিটেনের একজন কর্মচারি একই কাজ করে

বাংলাদেশীদের চাইতে বেশি বেতন দাবি করবে। তাই কোম্পানিগুলো বিভিন্ন দেশে অনুমোদিত সংস্থার মাধ্যমে কলসেন্টার খুলবে এবং সেবা প্রদান করবে। বিশ্বজুড়ে কলসেন্টারের চাহিদা বেড়েই চলেছে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে কলসেন্টার গড়ার কাজ প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক, ব্যক্তি ভিত্তিক নয়। এটিকে ব্যক্তি পর্যায়ে ছেড়ে দিলে আরো সুবিধা হবে।

আউটসোর্সিং: ব্যক্তিগতভাবে আউটসোর্সিং-এর কাজ করার জনপ্রিয়তা বাড়ছে। উন্নত বিশ্বের যেকোনো বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের কাজ যখন উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশের কর্মী চুক্তির ভিত্তিতে করে দেবে তখন তাকে বলা হয় আউটসোর্সিং। উন্নত দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো স্বল্প মূল্যে শ্রমের যোগান পায় বলে যেকোনো ব্যক্তি ওয়েব সাইটে কাজ পাঠিয়ে দেয়, যেকোনো বড় ফাইলের ওয়ার্ড অডিট করা, ডিজাইন করা, ডাটা ট্রান্সফার, সার্ভে রিপোর্ট তৈরি করা, চার্ট তৈরি করা, দৈনন্দিন তথ্যের ব্যবধান নিয়ে ম্যাপ তৈরি করার মত আকর্ষণীয় অনেক কাজ এখন আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে করানো হয়। তবে এসব কাজে নিলাম ডাকা হয়। যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সর্বনিম্ন মূল্যে কাজ করতে আগ্রহী থাকবে তাদেরকে কাজ দেয়া হবে। আউটসোর্সিং-এর কাজ পেতে হলে আপনার থাকতে হবে নিজস্ব ওয়েব এড্রেস ও একাউন্ট। বিভিন্ন ওয়েব সাইটে এসব আউটসোর্সিং-এর কাজ দেয়া হয়ে থাকে, যেমন: http://www.rentacoder.com., http://www.e-worker.com, http://www.freelancer.com, http://www.odesk.com । এসব ওয়েব সাইটে কাজের তথ্য দেয়া থাকে। ওয়েব সাইটে সদস্য হয়ে একাউন্ট খুললে আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ সে সব কাজের জন্য অফার দিতে পারেন। নিলামে জিতলে আপনি কাজ পেয়ে যাবেন। এসব ওয়েব সাইটে বিভিন্ন কাজের তালিকা রয়েছে যেখান থেকে প্রয়োজন মত কাজের অফার দিতে পারেন। আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ সে বিষয়ই বেছে নিন। যেমন আপনি পরিসংখ্যান ভাল বুঝে থাকলে অনলাইনে সার্ভে-এর কাজ করতে পারেন। অনলাইনে আউটসোর্সিং-এর কাজ করে মাসে দশ হাজার টাকা আয় করা যায় যা পার্টটাইম কাজ হিসেবে খারাপ নয়।

ডাটা কালেকশন ও প্রদান: অনলাইনে কাজের অন্যতম ক্ষেত্র হল ডাটা কালেকশন ও এন্ট্রি। অনলাইনে ও অফলাইনে পাওয়া ডাটাগুলো কোম্পানির ওয়েব সাইটে এন্ট্রি করানোই হল ডাটা এন্ট্রি। বিভিন্ন ওয়েব সাইট ও রিপোর্ট সহ প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো এক নজরে দেখার ব্যবস্থা করে দেয়াই হল ডাটা এন্ট্রি। এখানে আইটেম ভেদে ডলারে মূল্য পরিশোধ করা হয়।

অনলাইন মার্কেটিং: অনলাইনে যেকোনো পণ্য বিক্রি করে কমিশন লাভের নামই হল অনলাইন মার্কেটিং। যেকোনো পণ্যের উপর নির্দিষ্ট মূল্যের কমিশন কোম্পানির একাউন্ট থেকে কেটে আপনার একাউন্টে চলে আসবে। নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে গিয়ে সদস্য হলে বিভিন্ন পণ্যের ই-মার্কেটিং করার সুযোগ পেয়ে যাবেন। ফেসবুক-এর সদস্য ও ব্লগাররা এর সুবিধা বেশি নিতে পারে। বন্ধু মহলে আপনার পণ্যের সুনাম ছড়িয়ে দিয়ে বিক্রিত পণ্যের উপর কমিশন পেতে পারেন। তবে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা পর্যন্ত পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে না পারলে একাউন্ট আপনা-আপনিই বন্ধ হয়ে যাবে।

অডিট: অডিট করা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই যেকোনো কোম্পানি তাদের রিপোর্ট, এলবাম বা কোনো কিছু অডিট করাতে চাইলে স্বল্প মূল্যে কর্মী খোঁজে। প্রোগ্রামিং- এর কাজে অভিজ্ঞ হলে আপনি কাজ করে আপনার দক্ষতা যাচাই করতে পারেন। ছবি অডিট করা, কাপড়ের ডিজাইন করা সহ অনেক কাজ এখন অনলাইনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এসব কাজ করে মাসে সম্মানজনক আয় নিশ্চিত করতে পারেন।

গুগল এ্যাডসেন্স: বেশ কিছু কোম্পানি বিজ্ঞাপন দাতা এবং ওয়েব সাইট মালিকদের মধ্যে মধ্যস'তা করে ক্ষুদ্র ওয়েব সাইট মালিকদের এই এড্রেসে অবসি'ত বিজ্ঞাপন আইকনে মালিক ছাড়া অন্য কেউ ক্লিক করলে প্রতি ক্লিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কেটে রাখা হবে কোম্পানি একাউন্ট থেকে যা জমা হবে ওয়েব সাইট মালিকের একাউন্টে। তাই কোনো পরিচিত নামে ওয়েব সাইট খুলে বিজ্ঞাপনের উপর কমিশন নিতে পারে যেকোনো ব্যক্তি।

0 Comments:

Post a Comment



Free Website templateswww.seodesign.usFree Flash TemplatesRiad In FezFree joomla templatesAgence Web MarocMusic Videos OnlineFree Wordpress Themeswww.freethemes4all.comFree Blog TemplatesLast NewsFree CMS TemplatesFree CSS TemplatesSoccer Videos OnlineFree Wordpress ThemesFree CSS Templates Dreamweaver