Newspaper

Online Income

অনলাইনে আয়-রোজগার করবার ১০টি উপায়

Cricket Live Score
Yahoo TV

Tech News

ইন্টারনেটে আয়ের যত মাধ্যম

ইন্টারনেট নামক ভার্চুয়াল দুনিয়া মানুষের সামনে খুলে দিয়েছে সম্ভাবনার নয়া দিগন্ত। এখানে যেমন আছে শেখার নানা সুযোগ তেমনি আছে শেখাটাকে কাজে লাগিয়ে রোজগারের বহু রাস্তা। তবে এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ইন্টারনেটে বহু ফোরাম ও ব্লগ আছে, যার সদস্যদের কাছে নিয়মিত ইন্টারনেটে আয় বিষয়ক পোস্ট আসে। ক্লিক করলেই ডলার অথবা পাউন্ডের হিসাব। কিন্তু কিছুদিন পরই জানা যায় সাইটটি ভুয়া। তাই ক্লিক করে টাকা উপার্জনের বিষয়টি মাথা থেকে ঝেরে ফেলে সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে হবে। তাহলেই ইন্টারনেট থেকে টাকা উপার্জন অবশ্যই সম্ভব। এক্ষেত্রে অনুকরণীয় মডেল হতে পারে ইংল্যান্ডের ১৯ বছর বয়সী অ্যাশলে কুয়ালস। যার মাসিক আয় প্রায় ৭০ হাজার পাউন্ড।

বাহারি ডিজাইনের ওয়েবসাইট টেমপ্লেট তৈরি করে নিজের সাইটে প্রদর্শন করেন যা পরে মাইস্পেসের মতো সামাজিক বন্ধন তৈরিকারী সাইটগুলো ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে যায় টেমপ্লেটগুলো। এভাবেই তার পথচলা। বর্তমানে অনেকেই ইন্টারনেটে আয়-রোজগারকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। জানিয়ে দিচ্ছি অনলাইনে রোজগারের কিছু পদ্ধতি:--

ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্সিং :

অনলাইনে অনেক সাইট রয়েছে যেখানে ফ্রিল্যান্স কাজ করা যায়। ডিজাইন ডাটা এন্ট্রি, লেখালেখি করা যায় এসব সাইটে। এজন্য ওডেক্স, গেট আ কোডার, রেন্ট আ কোডার, টপ কোডার সাইটগুলো বেশ ভালো এক্ষেত্রে নিবন্ধিত হওয়ার একটা ব্যাপার থাকে। ফ্রিল্যান্সিংর কাজ করতে শুরুতেই নিজস্ব প্রোফাইল তৈরি করতে হবে এবং প্রতি ঘণ্টায় প্রত্যাশিত অর্থের বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে। www.odesk.com, www.getacoder.com ইত্যাদি সাইটগুলোর হোমপেজে রয়েছে নানা ধরনের কাজের তালিকা। এসব কাজে নিজেকে যোগ্য মনে করলে বিড করে কাজটি করে বাগিয়ে নিতে পারেন মোটা পরিমাণ অর্থ। আপনি যত বেশি প্রজেক্টের কাজ করবেন ততবেশি অভিজ্ঞতা যোগ হবে আপনার প্রোফাইলে।

ওয়েবসাইট ডেভেলপিং:

অনলাইনে আয় করতে পারেন অন্যের ওয়েবসাইট ডেভেলপ করেও। এই কাজটি পেতে আপনাকে অনলাইনে বিড করতে হবে। অন্যদের থেকে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি পদ্ধতি হল জুমুলা জানা। তবে আপনি ইচ্ছে করলে ডেমো তৈরি করে রাখতে পারেন যা রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে।

গুগল অ্যাডসেন্স :

নিজের ওয়েবসাইটে গুগলের এনে দেয়া বিজ্ঞাপন দিয়েও বাড়তি আয় করা যায়। এক্ষেত্রে ওয়েবসাইট ভিজিট বা বিজ্ঞাপনে ক্লিক হলেই আপনার একাউন্টে টাকা জমা হবে। আয়ের পরিমাণ ১০০ ডলার হলেই গুগল চেকের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দেয়। গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে জানতে www.google.com/adsense সাইটটি ভিজিট করুন।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজিং :

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজিং বা এসইও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সার্চ রেজাল্টে কোন ওয়েবসাইটের অগ্রাধিকার ঠিক করা সম্ভব। যেমন, যদি কোনও কোম্পানির শিক্ষা বিষয়ক একটি সাইট আছে তারা চাচ্ছে যে গুগল সার্চের ফলাফলে তাদের সাইটটি শুরুর দিকে থাকুক। এক্ষেত্রে এসইও জানা থাকলে তা করা সম্ভব। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করতে
পারেন--en.wikipedia.org/wiki/search-engine-optimization

গ্রাফিক্স ডিজাইন :

যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন জেনে থাকেন তবে এ দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনের বিভিন্ন সাইট থেকে কাজ বাগিয়ে নিতে পারেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোগো, প্যাড, বিজনেস কার্ড, লেটার হেড করতে গ্রাফিক্স ডিজাইন জ্ঞান ব্যবহার করা হয়। গ্রাফিক্স ডিজাইন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে দেখতে পারেন
www.graphicdesign.aboutcom, www.graphic-design.com, www.graphiccompetitions.com

টেমপ্লেট ডিজাইন :

টেমপ্লেট ডিজাইন হল কোনও ওয়েব সাইট তৈরির প্রাথমিক ধাপ। ধরুন আপনি ভ্রমণ সংক্রান্ত একটি ওয়েব সাইট করতে যাচ্ছেন এক্ষেত্রে বিভিন্ন ছবি ও তথ্য ওয়েবপেইজের কোনও জায়গায় কতটুকু যাবে তার একটি প্রাথমিক ডিজাইন এই টেমপ্লেট। তাই আয়ের একটি ভালো পথ হল টেমপ্লেট ডিজাইন তৈরি। বিভিন্ন টেমপ্লেটের নমুনা দেখতে ভিজিট করুন
www.freewebsite templates.com, www.joomladesigns.co.uk.

অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার :

বর্তমান প্রজন্মের কাছে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট জনপ্রিয় হচ্ছে। ধরি আপনি একটি সাইট করলেন যেখানে ইংরেজি থেকে বাংলা এবং বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ করা যায়। আপনি যদি সাইটটি আপলোড করেন তাহলে অনেকেই এটি ব্যবহার করবে আপনি ইচ্ছে করলে এর সঙ্গে গুগল অ্যাডসেন্সের মতো বিজ্ঞাপনী সেবাগুলো যোগ করতে পারেন। বেশি ভিজিট বা বেশি ক্লিক মানেই পকেটে অর্থ। ভালো গেমস অ্যাপ্লিকেশন করতে পারলেই ফেইসবুক সেটি কিনে নেবে। ফেইসবুকে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করতে ভিজিট করুন www.developers.
facebook.com

নতুন কিছু : ফ্ল্যাশ তৈরি, প্রোডাক্ট রিভিউ, ব্লগ তৈরি, প্রজেক্ট টেস্টার অর্থ উপার্জনের আরও কয়েকটি পথ। তবে টেকনিক্যাল জ্ঞান না থাকলে নেটে প্রচুর টিউটোরিয়াল রয়েছে যেখানে বেশ কিছু কাজের গোছানো বর্ণনা রয়েছে। এখান থেকে আপনি কাজগুলো শিখে নিতে পারেন।
আপনি যদি নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে পারেন তাহলে আপনি সহজেই বিপুল পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন- এআইইউবি, ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রফেশনাল কোর্স করায়। এছাড়াও সিসটেক ডিজিটাল, ডেফোডিল ইন্সটিটিউট অব আইটির মতো কিছু প্রতিষ্ঠান গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইনের ওপর কোর্স করায়।

0 Comments:

Post a Comment



Free Website templateswww.seodesign.usFree Flash TemplatesRiad In FezFree joomla templatesAgence Web MarocMusic Videos OnlineFree Wordpress Themeswww.freethemes4all.comFree Blog TemplatesLast NewsFree CMS TemplatesFree CSS TemplatesSoccer Videos OnlineFree Wordpress ThemesFree CSS Templates Dreamweaver